প্রধান শিক্ষকরে বাণী
প্রাচ্যের ম্যানচেষ্টার
খ্যাত বাবুরহাট তথা মাধবদী বস্ত্রশিল্পে প্রভূত উন্নতি সাধন করলেও শিক্ষায় ছিল
অনগ্রসর । প্রথিতযশা কিছু বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি গভীরভাবে বিষয়টি উপলব্ধি
করে............. সমাজহিতৈষী এই অগ্রসর বৃহৎ জনগোষ্ঠিকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার
লক্ষ্যে ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠা করে মাধবদী সতী প্রসন্ন ইনস্টিটিউশন। প্রতিষ্ঠালগ্ন
থেকে অদ্যাবধি বহু বরেণ্য ব্যক্তি এ প্রতিষ্ঠান হতে শিক্ষালাভ করে। সমাজ
বিনির্মাণে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। অনগ্রসর বিরাট জনগোষ্ঠী এ প্রতিষ্ঠানের
জ্ঞানের ঝর্ণাধারায় অবগাহন করে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্তি লাভ করেছে।
শিক্ষা মানুষের সুকুমার
বৃত্তিগুলোকে জাগ্রত করে। এ ক্ষেত্রে সাহিত্য চর্চার কোন বিকল্প নেই। শিশু তার
কোমল মনের আবেগ অনুভূতি লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করে। একজন শিক্ষকের দায়িত্ব হল
শিশুর অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্র সৃষ্টি করা। দায়িত্ব বোধের এ তাড়ণা থেকেই মাধবদী
সতীপ্রসন্ন ইনস্টিটিউশন প্রকাশ করতে যাচ্ছে সাহিত্য সাময়িকী মনন। যার মাধ্যমে
শিক্ষার্থীরা তাদের সুক্ষ্ম অনুভূতিগুলো প্রকাশের সুযোগ পাবে, ব্রতী হবে সাহিত্য
সৃষ্টিতে। মমন প্রকাশের ক্ষেত্রে কৃতজ্ঞতা আমার সহকর্মীদের, যাদের অক্লান্ত
পরিশ্রমে মমন প্রকাশকে সহজতর করেছে। সেই সাথে পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ যাঁরা
এই প্রকাশনায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে আন্তরিকভাবে, কৃতজ্ঞ তাঁদের প্রতি।
পরিশেষে সকলের প্রতি রইল শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।
সজল চন্দ্র সরকার
প্রধান শিক্ষক, মাধবদী সতী প্রসন্ন ইনস্টিটিউশন
মাধবদী, নরসিংদী।